শিরোনাম: |
ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাল্টা তলব
|
ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হোসাইনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার শুজা আলমকে তলবের পাল্টা হিসেবে তাকে তলব করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে তলব করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র। সম্প্রতি ইসলামাবাদে বাংলাদেশি কূটনীতিক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনারকে তলবের পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান এ ঘটনা ঘটালো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাংলালানিউজকে বলেন, ‘সোমবার বিকেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠান। এসময় তাকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।’ এর আগে, ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকার গুলশান এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করায় আবরার হোসেন খান নামে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মীকে আটক করে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে অর্থাৎ ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস শাখার কর্মী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর রাত ১টার দিকে বাসায় ফেরেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওই কর্মী। এ বিষয়ে জানতে ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার সুজা আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তার হাতে হাইকমিশনের কর্মীকে আটকে রাখার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি চিঠিও ধরিয়ে দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে, গত বছরের জানুয়ারিতে জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মাযহার খানকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর পাকিস্তান হাইকমিশনের কূটনীতিক ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধেও জঙ্গি যোগসাজশের অভিযোগ উঠে। গত বছরের শেষ দিকে তাকেও প্রত্যাহার করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও বাংলাদেশের একজন সিনিয়র কূটনীতিককে কোনো কারণ ছাড়াই সেদেশ থেকে ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান তাদের সহযোগী যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে নানাভাবে সরকারের সমালোচনা করে অাসছে। পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে যে, বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের দাবি জোরালো হচ্ছে। সংসদেও এই দাবি তোলেন একজন সংসদ সদস্য। তবে এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। |