আম্বিয়ায়ে কেরাম ও আউলিয়ায়ে কেরামকে উছিলা ধরা, তাদের নিকট ফরিয়াদ করা ও সাহায্য প্রার্থনা করা- ইহকালীন ও পরকালীন উভয় ক্ষেত্রেই শরীয়ত মতে ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ঐক্য মতে জায়েজ । আহলে সুন্নাতকে হাদিস শরীফে ছেওয়াদে আজম বা সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানের দল বলা হয়েছে এবং তাদের অনুসরণ করার জন্য তাকিদ করা হয়েছ । তাদের ঐক্যমত বা ইজমা সত্যের দলিল । কেননা, অসত্যের উপর সকলে একমত হতে পারে না । তাদের ইজমা ভুলত্রুটি হতে মুক্ত । এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সঃ) এর কয়েকখানা হাদিস শরীফ প্রণিধান যোগ্য ।
১) ইমাম আহমদ ও তাবরানী কর্তৃক রেওয়ায়েতকৃত হাদিসে নবী করিম (সঃ) এরশাদ করেছেনঃ
অর্থঃ আমি আমার রবের দরবারে এই ফরিয়াদ করেছি যে, আমার সখ্যাগরিষ্ঠ উম্মত যেন কোন বাতিল বিষয়ে একমত না হয় । আল্লাহ আমার প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন – (ইমাম আহমদ ও তাবরানী) । এতে বুঝা গেল যে বিষয়ে জমহুরে উম্মত একমত হয় তা বাতিল নয় ।
২) ইমাম হাকেম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে নবী করিম (দঃ) এর বানী উদ্ধৃত করেছেন এভাবে-
আল্লাহ তা’আলা আমার সমস্ত উম্মতকে গোমরাহির বিষয়ে কখনও ঐক্যমত্য করবেন না” । আরও এরশাদ করেছেনঃ “মুসলানগনের মতে যাহা ভাল ও উত্তম, তাহা আল্লাহর নিকটও উত্তম বলে গণ্য” । (হাকেম ও তাবরানী)
এতে প্রমাণিত হল যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ উম্মত কখনও বাতিল বিষয়ে একমত হবে না । সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান যে বিষয়কে ভাল বলেন- তাহা আল্লাহর নিকটও ভাল । যেহেতু মুসলাম্নগনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের মতেই আম্বিয়ায়ে কেরাম ও আউলিয়ায়ে কেরামের উছিলা ধরা উত্তম- সেহেতু আল্লাহর নিকটও উহা উত্তম । ইহা ইজমা দ্বারা প্রমাণিত ।