শিরোনাম: |
কানযুল ঈমান (কোরআনুল কারীমের তাফসীর)
শাহ্ মুহাম্মদ আহমদ রেজা খান বেরলভী (রহঃ)
অনুবাদক - আলহাজ্ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান
|
বাংলা-পাক-ভারত উপমহাদেশে কোরআন করীমের অনুবাদের অধিকাংশই উর্দু ভাষায় করা হয়েছে। এসব অনুবাদের অগ্রণী হলেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ সাহেবের খাদ্দান । এর পরও অনুবাদ হতে থাকে। সুতরাং এতে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, পূর্ববর্তী অনুবাদগুলো সস্পূর্ন ছিলো না। বিশেষ করে, শাহ আবদুল ক্বাদেরের অনুবাদ মাহাত্ম্যানুধাবনে একেবারেই অপূর্ণ। মৌলভী আশরাফ আলী থানভীর অনুবাদ বুঝার জন্য কিছুটা অনুকূলে ছিলো,কিন্তু তাতে ত্রুটি ছিলো যে, অনুবাদ নিছক ভাসাভাসাভাবে করে দেয়া হয়েছে। যেমন, প্রথমে এক শব্দ এক স্থানে যে অর্থ প্রদান করেছে অন্যস্থানেও থানভী সাহেবের অনুবাদে তা একই অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে; অথচ তা সেখানে প্রযোজ্য ছিল না।কারন কোরআন করীমের বর্ণনাভঙ্গীতে এক বিশেষ নিয়ম আছে, যা অন্য কোন ভাষায় পাওয়া যায়না। একারনে , হুযূর মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর মহত্বের পতাকাবাহী ইমামে আহ্লে সুন্নাত দার্শনিক ইমাম আহমেদ রেযা খান (রাহ্মাতুল্লাহি আলায়হি ) যিনি চৌদ্দ শতাদিক গ্রন্থের লিখক এবং যার জীবন ও কর্মের উপর সুদূর আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হতে শুরু করে এশিয়ার বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা চলছে , রচিত তরজমা-ই-ক্বোরআন ( কান্যুল ঈমান) ইসলামী বিশ্বের কাছে সর্বোৎকৃষ্ট ‘তরজমা ও তাফসীর’ রূপে সমাদৃত হয়েছে। অনুরূপভাবে, বাংলা ভাষায়ও এ পর্যন্ত ক্বোরআন পাকের যতগুলো তরজমা বা তাফসীর প্রকাশিত হয়েছে তার অধিকাংশি ত্রুটিপূর্ণ। আলহাজ্ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান সাহেবের “কান্যুল ঈমান” -এর বাংলায় সফল অনুবাদ করে বাংলাভাষী মুসলমানদের জন্য এক মহান নিয়ামত উপস্থাপন করেছেন। সুন্নীবার্তা টিম ক্রমান্বয়ে এই বইয়ের সূরা ভিত্তিক তাফসির উপস্থাপন করবে। তারই প্রেক্ষিতে আজ সূরা ফাতিহা সূরা বাক্বারা , সূরা আল্-ই- ইমরান , সূরা নিসা প্রকাশ করা হলো। - আমীন |